সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চীনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ ও প্রভাব আলোচনা করো।

সূচনা: বিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে চিনে রাজতন্ত্রী ও প্রজাতন্ত্রী বিপ্লবীদের মধ্যে প্রবল সংগ্রাম শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে চিনে বিদেশিদের আধিপত্যের অবসানের লক্ষ্যে সেদেশে প্রবল এক বৌদ্ধিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ মে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ৪ মে-র আন্দোলন (May Fourth Movement) নামে পরিচিত। ৪ মে-র আন্দোলনের কারণ: [1] ইউয়ান-সি-কাই-এর নৃশংসতা: চিনে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর চিনের রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াৎ-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি সমরনায়ক ইউয়ান-সি-কাই- এর সমর্থনে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতির পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ইউয়ান-সি-কাই চিনের ক্ষমতা লাভের পর ধীরে ধীরে চিনে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং চিনে বিদেশিদের বিভিন্ন সুবিধা দেন। তিনি তাঁর বিরোধীদের একে একে হত্যা করেন। কুয়োমিনতাং দলের নেতা মুং চিয়াও-জেন নিহত হলে তাদের সরকার গঠনের আশা ভঙ্গ হয়। ফলে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান-সহ কয়েকটি দেশ ইউয়ান সরকারকে যথেষ্ট পরিমাণ ঋণ দেয়। [2] কুয়োমিনতাং দল নিষিদ্ধ: চিনে গৃহযুদ্ধ এড়িয়ে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ...

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার (১৯২৯ খ্রি.) প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। এই মামলাটির পরিণতি কী হয়েছিল?

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা: কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপ ও তাদের নেতৃত্বাধীন শ্রমিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে সরকার ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ৩২ জন কমিউনিস্ট শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এটি ‘মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা’  নামে পরিচিত। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট: সূচনা: ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা জন্মলগ্ন থেকেই কৃষক ও শ্রমিকশ্রেণির মঙ্গলের জন্য সচেষ্ট ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা এই দুই শ্রেণিকে জাতীয় আন্দোলনের মূলধারায় শামিল করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ভারত সরকারের এক রিপোর্ট থেকে জানা যায় — শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে সাম্যবাদী আদর্শের প্রচার ও প্রভাব সরকারের পক্ষে গভীর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট গুলি নিচে উল্লেখ করা হলো – [1] শ্রমিক আন্দোলন: ভারতের বিভিন্ন কলকারখানায় কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে শ্রমিক অসন্তোষ বাড়তে থাকে। কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে আন্দোলনে সরব হলে ভারতের বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকরা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে আন্দোলনে শামিল হয়। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রদান, কাজের সময় হ্রাস, বিনা ক্ষত...

সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বোঝো ? সাম্রাজ্যবাদ উদ্ভবের কারণগুলি কী ?

সাম্রাজ্যবাদঃ সাধারণ ধারণা: সাম্রাজ্যবাদের সংজ্ঞা নিয়ে নানা মত রয়েছে। প্রথমদিকে এর অর্থ ছিল সামরিক কর্তৃত্ব। পরবর্তীকালে বলা হয় একটি দেশ নিজের স্বার্থে অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিনাশ বা সংকুচিত করে সেই দেশ ও জাতির ওপর যে প্রভুত্ব বা কর্তৃত্ব স্থাপনের চেষ্টা করে তা হল সাম্রাজ্যবাদ (Imperialism)। সাম্রাজ্যবাদের সংজ্ঞাঃ লেনিনের মত: ভি. আই. লেনিন তাঁর 'Imperialism: the Highest Stage of Capitalism' গ্রন্থে লিখেছেন, “সাম্রাজ্যবাদ হল পুঁজিবাদের একচেটিয়া পর্যায়।” হবসনের মত: জন এ. হবসন তাঁর 'Imperialism: A Study' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “প্রাথমিক স্তরে জাতীয়তাবোধ অন্যদেশে উপনিবেশ গড়ে তোলার প্রেরণা জোগায়, যা পরবর্তীকালে সাম্রাজ্যবাদের রূপ নেয়।” এ ছাড়া সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে মরগ্যানথাট, পামারও পারকিনস, বন, সি ডি বার্নস, সুম্যান, হিলফারডিং, কার্ল কাউস্কি, হজ, ওয়েলস এবং বেয়ার্ড সাম্রাজ্যবাদের নানা সংজ্ঞা দিয়েছেন। সাম্রাজ্যবাদের উদ্দেশ্য: সাম্রাজ্যবাদের নানা উদ্দেশ্য ছিল, যেমন—[i] অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ, [ii] জাতীয়তাবাদের সম্প্রসারণ, [iii] জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষ...

পূর্ব ইউরোপের সোভিয়েতীকরণের উদ্দেশ্য কি ছিল? বিভিন্ন দেশে এর কি প্রভাব পড়েছিল?

পূর্ব ইউরোপে রুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠাঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানে সোভিয়েত রাশিয়ার লালফৌজ পূর্ব ইউরোপীয় অঞ্চল জার্মানির হাত থেকে মুক্ত করে সেখানে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া এসব অঞলে কমিউনিস্ট ভাবাদর্শের প্রসার ও রাশিয়ার অনুগত কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রাশিয়া তার ভূখণ্ড সংলগ্ন লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া প্রভৃতি ছোটো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলিকে সরাসরি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে। এ ছাড়া পূর্ব ইউরোপের যুগোশ্লাভিয়া, চেকোশ্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া, আলবেনিয়া, হাঙ্গেরি, রুমানিয়া, পোল্যান্ড ও পূর্ব জার্মানি—এই আটটি দেশে রুশ-অনুগত কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। রুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেঃ পূর্ব ইউরোপে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পিছনে রাশিয়ার যেসব উদ্দেশ্যগুলি ছিল তা হল- [১] সাম্যবাদী আদর্শের প্রসার: স্ট্যালিন মনে করতেন যে, সকল বিজেতাই বিজিত অঞ্চলের ওপর নিজেদের মতাদর্শ ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই পূর্ব ইউরোপের বিজিত অঞ্চলে রাশিয়ার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা যুক্তিসংগত। এজন্য সাম্যবাদী ভাবধারার ধারাবাহিক প্রসারের জন্য এই অঞ্চলে র...

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে চিনে বুদ্ধিজীবী শ্রেণির উদ্ভব কীভাবে হয়? চিনের তাইপিং বিদ্রোহ সম্পর্কে একটি টীকা লেখো।

চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে বুদ্ধিজীবী শ্রেণির উদ্ভব : [1] আধুনিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা: চিনে বিদেশি বণিকদের সীমাহীন শোষণ ও লুণ্ঠনের ফলে চিনবাসী জর্জরিত হয়। এই পরিস্থিতিতে সচেতন চিনা নাগরিকগণ উপলব্ধি করেন যে, আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা ও বিজ্ঞানচর্চা ছাড়া চিনের অগ্রগতি সম্ভব নয়। [2] মিশনারিদের আগমনের সূচনা: নানকিং-এর সন্ধির আগে থেকেই চিনে খ্রিস্টান মিশনারিদের আগমন শুরু হয়। রবার্ট মরিসন ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে চিনে আসেন এবং চিনা ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করেন। আমেরিকার খ্রিস্টান মিশনারিদের মধ্যে এলিজা কোলম্যান ব্রিজম্যান ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম চিনে আসেন এবং চিনে খ্রিস্টান সাহিত্য প্রসারের উদ্দেশ্যে একটি মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। মিশনারি পিটার পার্কার ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে চিনে এসে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে টি. রিচার্ড, জে. অ্যালেন, আলেকজান্ডার উইলিয়ামসন, এ. পি. মার্টিন প্রমুখ মিশনারি চিনে এসে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষ প্রসারের কাজ করেন। [3] পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার : খ্রিস্টান মিশনারি ও চিনা বুদ্ধিজীবীদের উদ্যোগে চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার দ্রুত প্রসার ঘটতে থাকে। ইংরেজি ফরাসি, ...

বাংলায় নবজাগরণের প্রকৃতি আলোচনা করো। এর সীমাবদ্ধতা কী ছিল?

বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি বা চরিত্র: সূচনা:  ‘রেনেসাঁ’ কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল জাগৃতি বা নবজাগরণ। উনিশ শতকের বাংলার সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবনকে ইতিহাসবিদরা 'নবজাগরণ' আখ্যা দিয়েছেন। [1] অর্থ: পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত তৎকালীন বাংলার মধ্যবিত্ত সমাজ অনুসন্ধানী মন ও যুক্তিতর্কের দ্বারা সবকিছুর মূল্যায়ন শুরু করে। এই সময় চিরাচরিত শাস্ত্রের নতুন ব্যাখ্যা, নীতিশাস্ত্রের ও ধর্মশাস্ত্রের নতুন মূল্যায়ন শুরু হয়। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, সমাজ, সমস্ত ক্ষেত্রে এক অভাবনীয় জাগরণ শুরু হয়, যা এক কথায় নবজাগরণ নামে পরিচিত। [2] ভিত্তি : নবজাগরণ বলতে শুধু প্রাচীন দেশীয় ও ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নতুন মূল্যায়ন প্রচেষ্টাকে বোঝায় না। এই সময় ইংরেজি শিক্ষার ও ইউরোপীয় সংস্কৃতির ছোঁয়ায় বাঙালি আত্মসচেতন হয়ে ওঠে। পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি পাশ্চাত্যের সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বাঙালি নিজের ধর্মীয় এবং সামাজিক ত্রুটিবিচ্যুতিগুলি এবং সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের চরিত্র সম্বন্ধে সচেতন হয়ে ওঠে। এই সচেতনতাই হল নবজাগরণের আসল ভিত্...

ক্যান্টন বাণিজ্য বলতে কী বোঝ? ক্যান্টন বাণিজ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল? এই বাণিজ্যের অবসান কেন হয় ?

ক্যান্টন বাণিজ্য: প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত ক্যান্টন ছিল চিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র। নানকিং-এর সন্ধির (১৮৪২ খ্রি.) আগে পর্যন্ত গোটা চিন বিদেশিদের কাছে রুদ্ধ থাকলেও একমাত্র ক্যান্টন ছিল বিদেশিদের কাছে উন্মুক্ত বন্দর। চিনা আদালত ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে এক নির্দেশনামার দ্বারা একমাত্র ক্যান্টন বন্দরকেই বিদেশি বাণিজ্যের জন্য খুলে দেয়। এভাবে ক্যান্টন বন্দরকে কেন্দ্র করে চিনে বিদেশিদের এক বন্দরকেন্দ্রিক যে বাণিজ্য প্রথার সূচনা হয় তা 'ক্যান্টন বাণিজ্য প্রথা' নামে পরিচিত। এই প্রথা ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে নানকিং-এর সন্ধি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে পর্যন্ত চলে। ক্যান্টনের বাণিজ্যে প্রথম পর্বে পোর্তুগিজরা এবং পরে ব্রিটেন-সহ অন্যান্য ইউরোপীয় জাতিগুলি নিজেদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করে।                  ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ক্যান্টন বন্দর ক্যান্টন বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য: [1] রুদ্ধদ্বার নীতি: ক্যান্টন বাণিজ্যে অংশগ্রহণকারী বিদেশি বণিকদের চিনা ভাষা ও আদবকায়দা শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল। তারা ক্যান্টনে চিনা ফৌজদারি ও বাণিজ্যিক আইন মেনে চলতে বাধ্য ছিল। বিদেশি বাণিজ্য ...

পেশাদারি ইতিহাস বলতে কী বোঝায় ? অপেশাদারি ইতিহাসের সঙ্গে পেশাদারি ইতিহাসের পার্থক্য কী ?

পেশাদারি ইতিহাস: ইতিহাস হল আসলে মানবস্মৃতির অতীত কর্মকাণ্ডের কালানুক্রমিক ও ধারাবাহিক লিখিত বিবরণ। এই ইতিহাস নিয়ে যারা চর্চা করেন তাদেরকে ইতিহাসবিদ বা ঐতিহাসিক বলা হয়। এই ঐতিহাসিকদের মধ্যে অনেকে ইতিহাস চর্চাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন, যারা পেশাদার ঐতিহাসিক নামে পরিচিতি পান। আবার ঐতিহাসিকদের মধ্যে কেউ কেউ অবসর হিসেবে শখের ইতিহাস চর্চা করে থাকেন, যারা হলেন মূলত অপেশাদারি ঐতিহাসিক। বর্তমানকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাদারি ভিত্তিতে নানা ধরনের ঐতিহাসিক গবেষণার কাজ হয়ে চলেছে। গবেষণা থেকে বর্তমানকালে প্রতিনিয়ত ইতিহাসের নতুন নতুন দিকের উন্মোচন হয়ে চলেছে। এগুলি পেশাদারি ইতিহাস চর্চার অন্যতম উদাহরণ। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেসরকারি ইতিহাস চর্চার ধারাও প্রচলিত রয়েছে। পেশাদারি ও অপেশাদারি ইতিহাসের মধ্যে পার্থক্য: (1) উদ্ভব প্রকৃতপক্ষে ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউরোপের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিহাস চর্চার কাজ পেশাদারি ভিত্তিতে শুরু হয়। সেই সময় থেকে কোনো কোনো ঐতিহাসিক বা ঐতিহাসিক গোষ্ঠী ইতিহাস চর্চা ও ইতিহাসের গবেষণাকে পেশাদারি কাজ হিসেবে গ্রহণ ক...